শবে কদর (লাইলাতুল কদর) মুসলিম উম্মাহর জন্য এক মহামূল্যবান ও ফজিলতপূর্ণ রাত। এই রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছিল এবং আল্লাহ তাআলা এই রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম ঘোষণা করেছেন। তাই প্রতি বছর মুসলমানরা অধীর আগ্রহে জানতে চান— শবে কদর কবে?
আর পড়ুন-দেখা গেল রজবের চাঁদ: শুরু হলো বরকতময় তিন মাস
২০২৬ সালের শবে কদর কবে পড়বে?
ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শবে কদর রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর যেকোনো একটিতে হতে পারে। তবে হাদিস ও মুসলিম সমাজে ২৭ রমজানকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
🔹 সম্ভাব্য তারিখ (বাংলাদেশ):
👉 ১৬ মার্চ ২০২৬ (সোমবার) রাত
(হিজরি ২৭ রমজান ১৪৪৭ হিজরি)
⚠️ তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ একদিন আগে বা পরে হতে পারে। তাই চূড়ান্ত ঘোষণার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ঘোষণা অনুসরণ করা জরুরি।
শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত
শবে কদরের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে একটি পূর্ণ সূরা নাজিল করেছেন— সূরা আল-কদর।
শবে কদরের ফজিলত:
কুরআন নাজিলের রাত
-
হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও ভালো।
-
গুনাহ মাফের সুবর্ণ ।
-
ফেরেশতারা দলে দলে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
-
ফজর পর্যন্ত শান্তি বর্ষিত ।
রাসূল ﷺ বলেছেন—
“যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় শবে কদরে ইবাদত করে, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।”
(বুখারি ও মুসলিম)
শবে কদরের রাতে করণীয় আমল
এই রাতটি যেন অবহেলায় না কেটে যায়, সে জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল তুলে ধরা হলো—
১. নফল নামাজ
দুই রাকাআত করে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করুন।
২. কুরআন তিলাওয়াত
অর্থ বুঝে কুরআন পড়ার চেষ্টা করুন।
৩. বেশি বেশি দোয়া
বিশেষ করে নিচের দোয়াটি পড়া সুন্নত—
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন—আমাকে ক্ষমা করে দিন।
৪. তওবা ও ইস্তেগফার
নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।
৫. দান-সদকা
এই রাতে দান করলে তার সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
🇧🇩 বাংলাদেশে শবে কদর পালনের গুরুত্ব
বাংলাদেশে শবে কদর অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়।
-
মসজিদে মসজিদে সারারাত ইবাদত।
-
ওয়াজ মাহফিল ও দোয়া।
-
পরিবার নিয়ে ইবাদতের ।
-
টিভি ও অনলাইন মাধ্যমে ধর্মীয় আলো।
এই রাতটি বাংলাদেশি মুসলমানদের ইমানি জাগরণের অন্যতম সময়।
উপসংহার
২০২৬ সালের শবে কদর সম্ভাব্যভাবে ১৬ মার্চ রাতে পালিত হতে পারে। তবে যেহেতু এটি নিশ্চিতভাবে নির্দিষ্ট নয়, তাই রমজানের শেষ দশকের সব বিজোড় রাতেই ইবাদতে মনোযোগী হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। শবে কদর আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অমূল্য উপহার—এ রাত যেন অবহেলায় নষ্ট না হয়।
প্রশ্ন ও উত্তর
❓ ২০২৬ সালে শবে কদর নিশ্চিত কোন রাতে?
👉 নিশ্চিতভাবে বলা যায় না, তবে বাংলাদেশে ১৬ মার্চ ২০২৬ রাত সবচেয়ে সম্ভাব্য।
❓ শবে কদর কি শুধু ২৭ রমজানেই হয়?
👉 না, ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯—যেকোনো বিজোড় রাতে হতে পারে।
❓ শবে কদরের রাতে সবচেয়ে উত্তম আমল কী?
👉 নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও ইস্তেগফার।
❓ নারীরা ঘরে বসে কী আমল করতে পারেন?
👉 নামাজ, দোয়া, তাসবিহ, কুরআন তিলাওয়াত—সবই করতে পারেন।
ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!
আরও পড়ুন-ওমরাহ ও হজ্জ মূল পার্থক্য
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔


